জহিরুল ইসলাম মিশু : শেওলা স্থলবন্দর, বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থলবন্দর।উক্ত স্থলবন্দর আধুনিকায়নে দ্রুত চলছে উন্নয়নকাজ। চলতি বছরের শেষদিকে স্থলবন্দরের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে স্থলবন্দরটি। স্থলবন্দরটির আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১২৪ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্টের আওতায় শেওলা স্থলবন্দরে উন্নয়নকাজ হচ্ছে।
২০১৭ সালে শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হয়। দীর্ঘ জটিলতার পর প্রস্তাবিত ২২.১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থলবন্দরটির আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় স্থলবন্দরটিতে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক অফিস ভবন, ওয়্যার হাউস, দুটি ট্রাক টার্মিনাল, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ট্রেন, টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়েব্রিজ স্কেল, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিকীকরণ, ওয়াচ টাওয়ার ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ ছাড়া স্থলবন্দরের সীমানার মধ্যে থাকা জলাশয়, খাল ও নালাকে লেক ও সুইমিংপুলের আদলে রূপ দেওয়া হবে।
তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়নকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ পর্যন্ত অর্ধেকের বেশি পরিমাণ কাজ হয়ে গেছে। চলতি বছরের শেষের দিকে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা এবং পুরোদমে শুরু হবে স্থলবন্দরটির কার্যক্রম। এর মধ্য দিয়ে সিলেটে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। পর্যটনসহ অর্থনৈতিক সব খাতে লাগবে নতুন হাওয়া। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে শেওলা স্থলবন্দর।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে সিলেট অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে রাজস্ব খাতে ব্যাপকভাবে আয় বাড়বে। পর্যটনসহ অর্থনৈতিক সব খাতে লাগবে নতুন হাওয়া। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে শেওলা স্থলবন্দর।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন