সিলেট নগরীর ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিকশা, হাতগাড়ি, ভ্যান ও লেগুনা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।১ জানুয়ারি থেকে এমন নির্দেশনা কার্যকরের কথা জানিয়েছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এদিকে মেয়রের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই এই সড়কে গত তিন দিন ধরে চলাচল করছে রিকশা ও ভ্যান।রিক্সা ঠেকাতে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি গত তিনদিন ধরে।
তবে সোমবার সকাল থেকে যৌথভাবে নেমেছে সিসিক ও সিলেট মহানগর পুলিশ।নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ ও সিসিক।এছাড়া রাস্তার পাশে অবৈধ গাড়ি পার্কিং করে যানজট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে সিসিক। বিকেলে সিসিক ও মহানগর পুলিশের যৌথ অভিযানের পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় অযান্ত্রিক এসব যানবাহন চলাচল।
রবিবার বিকেল তিনটায় এই অভিযানে অংশ নেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ।
এছাড়া সিসিকের পক্ষ থেকে সিসিক কর্মীরা ও অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। এদিকে সিসিকের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাস্তায় রিকশা,ভ্যান গাড়ি নামান চালকরা। সোমবার ৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ১০-১২ জন রিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করতে চাইলে তাদের এই চার জনকে আটক করা হয়। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যান। তবে এসময় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা আমরা ইতিমধ্যে এই সড়কে ফুটপাত থেকে হকার সরিয়ে নিয়েছি। এখন আমরা একটি মডেল সড়কে রূপান্তরের জন্য কাজ করছি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণার পর গত তিনদিন আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, আশাকরি মহানগর পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নগরবাসীর সহযোগিতা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে রিকশা চলাচল।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, সিলেট নগরীর যানজট মুক্ত করতে সিসিকের নেয়া উদ্যোগে এসএমপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে রাস্তায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।