কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি প্রত্যাখান করে মিছিল করেছে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে তারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে কমিটির শীর্ষ পদ বিক্রির অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (১২) অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্র থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে টিলাগড় গ্রুপের নাজমুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তেলিহাওর গ্রুপের রাহেল সিরাজের নাম ঘোষনা করা হয়।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দর্শনদেউড়ি গ্রুপের কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাশ্মির গ্রুপের নাঈম আহমদের নাম ঘোষণা হয়।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৬ জনের নাম। তারা হলেন- জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, বিপ্লব কান্তি দাস, মুহিবুর রহমান মুহিব, কনক পাল অরূপ, হোসাইন মোহাম্মদ সাগর ও সঞ্জয় পাশী জয়।
এই কমিটি ঘোষণার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ প্রত্যাখান করে পদত্যাগ করেন মুহিবুর রহমান মুহিব ও জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান।জাওয়াদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের একাংশের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। তেলিহাওর গ্রুপের রাহেল সিরাজ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেলেও গ্রুপের অভ্যন্তরে অসন্তোষ চরমে পৌঁছায়। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান নিয়ন্ত্রিত তেলিহাওর গ্রুপের বড় অংশের নেতাকর্মীরা রাহেল সিরাজের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চেয়েছিলেন জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খানকে।
কিন্তু জাওয়াদকে সাধারণ সম্পাদক না করে কেন্দ্রীয় সদস্য করায় গ্রুপটির নেতাকর্মীরা বিকেল ৪টায় তেলিহাওর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি নগরীর জিন্দাবাজার আল-হামরা মার্কেটের সামনে আসলে পুলিশ মিছিলকারীদের বাধা দেয়।
পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনে অগ্রসর হয়। চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। কিছু সময় সড়ক অবরোধ শেষে ফিরে যান তারা।
উল্লেখ্য জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। নানা বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।দীর্ঘদিন ধরেই সিলেটে কমিটিহীন ছিলো ছাত্রলীগ। ফলে সংগঠনটিতে দেখা দিয়েছিলো বিশৃঙ্খলা ও স্থবিরতা।