মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে সন্ধ্যা রানী দাস (৬০) নামে এক নারীকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার মিশ্র ডোজ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) এ অভিযোগ করেন সিলেট নগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি এলাকার এ বাসিন্দা। তিনি বেশ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে এখন ও পর্যন্ত তার শরীরে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
তিনি জানান,গত ২৬ এপ্রিল তিনি এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। এ সময় তাকে ‘কোভিশিল্ড’ দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই সন্ধ্যা রানী দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা রানীর মুঠোফোনে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের তারিখ জানিয়ে খুদে বার্তা আসে। এতে বলা হয়, ১৭ আগস্ট তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে যান। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথে তিনি টিকা নিতে যান। তখন টিকাদানকারী নার্স কাগজ না দেখেই সন্ধ্যা রানীকে মডার্নার টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেন।
টিকা দেওয়ার পর টিকাদান কার্ডে টিকার নাম লিখতে গেলেই বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে একই ধরনের টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই নারীকে দুই ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারী ও তার স্বজনেরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
টিকাকেন্দ্রে দ্বায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা জানাব, প্রথম ডোজ হিসেবে যারা আগে কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছিলেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নগর ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে। এটি বেশ কয়েক দিন ধরেই ঘটা করে প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি যারা খুদে বার্তা পেয়ে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে এসেছেন, তাঁদেরও নগর ভবন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে এখন শুধুমাত্র মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যে সময়ে ওই নারী টিকা নিয়েছেন, তখন প্রচুর টিকাগ্রহীতার ভিড় থাকায় টিকাদান কার্ডটিও সংশ্লিষ্ট নার্সের পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি। ফলে ভুলটি হয়েছে।