সর্বাত্মক লকডাউনের’ ষষ্ঠ দিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলোতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। সিলেটের ১৪ টি পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে বেড়া (ব্যারিকেড) দিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনেও’ নগরীর বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ চোখে পড়ার মতো। কোথাও কোথাও যানজটও চোখে পড়েছে।
সোমবার ১৯ এপ্রিল কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রতিটি বেড়ার সামনেই পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। এতে যে সকল অনুমোদিত গাড়িগুলো রয়েছে তারা যদি পুলিশের কাছে যথাযথভাবে প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে তাদের ছাড়া হচ্ছে। অন্যথায় অননুমোদিত গাড়িগুলোকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
নগরীর বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, রোজভিউ পয়েন্টে, সোবহানীঘাট, রিকাবীবাজার, আম্বরখানা,মদিনা মার্কেট,টিলাগড়, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, অতিরবাড়ি, শ্রীরামপুর বাইপাস, পারাইর চক, বটেশ্বর, এয়ারপোর্ট রোড, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, জিন্দাবাজার ও কাজীর বাজার সেতুর দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। নগরীর অনেক মোড়ে একদিকের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে অপরদিকের রাস্তা যান চলাচলের জন্য খোলা রাখা হয়েছে। এসময় দেখা যায় সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে মোটরসাইকেল আরোহীদের দাঁড় করিয়ে ছবি তুলছে পুলিশ।
ট্রাফিক বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) ফয়সল মাহমুদ জানান, করোনা প্রতিরোধের জন্য, সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি। আগামীতে এ লকডাউন আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও জানান, যারা অসুস্থ রোগী এবং সরকার-ঘোষিত জরুরী সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি বর্গদের আমরা আইডি কার্ড প্রদর্শনের পর ছেড়ে দিচ্ছি। যারা বিনা প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস ছাড়া ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিলো তাদের বুঝিয়ে নিজ নিজ ঘরবাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ, বিনা প্রয়োজনে আপনারা ঘর থেকে বের হবেন না।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও বাড়তে পারে। কারণ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।