সম্প্রতি বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় মসুদ আহমেদের এক আত্মীয়। পরে সেই টাকা তুলতে ব্যাংকে যান মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্যবসায়ী মসুদ। ব্যাংকের কর্মকর্তাকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দেন মসুদ। এ সময় অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই শেষে মসুদকে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ব্যাংকের কর্মকর্তা। টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান মসুদ আহমেদও। কারণ, ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগেই ‘মারা গেছেন’ মসুদ।
মসুদ কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ভূঁইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের পাইকপাড়া বাজারে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে মসুদের।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মসুদ জানান, ২০১৮ সালের ৩১ মে, তার জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। কিছুদিন আগে জরুরি প্রয়োজনে তার নামে বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় এক আত্মীয়। টাকা তুলতে জেলা সদরে অবস্থিত এক ব্যাংকে যান তিনি। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তাকে মৃত দেখাচ্ছে। এতে বিস্মিত হয়ে পড়েন তিনি। পরে সেখান থেকে বিস্তারিত তথ্য ডাউনলোড করেন তিনি।
ডাউনলোড করা তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মসুদের জন্ম। আর ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর মসুদের মৃত্যু হয়েছে বলে মৃত ‘স্ট্যাটাস’-এ উল্লেখ রয়েছে।
মসুদ আরও জানান, সেখান থেকে ফিরে বুধবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ‘জীবিত’- মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীর ভুলের কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।