অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম। এসময় নির্যাতনে রায়হানের দুটি নখও উল্টে ফেলা হয় বলে জানান তিনি।
এছাড়া দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত শেষে ডা. শামসুল ইসলাম জানান- রায়হানের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। এসব কারণেই তার মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘পুলিশি নির্যাতনে নিহত’ রায়হানের প্রথমবার (১১ অক্টোবর) ময়না তদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি এমন তথ্য জানান।
এদিকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত শেষে আবারও তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে মরদেহ দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ, মেজবাহ উদ্দিন, পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর মখলেছুর রহমান কামরানের উপস্থিতিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর একটি দল আখালিয়া এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েতি গোরস্থান থেকে রায়হানের মরদেহ উত্তোলন করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রায়হানের মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহ তোলার পর সুরতহাল করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় তার লাশ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে সিলেট নগরের আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকেলে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা মোড় নিতে থাকে অন্যদি্কে। পরিবার দাবি করে, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন