English

26 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

সিলেটে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসী পরিবার উধাও! জরিমানা আদায়

- Advertisements -

সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ৯ প্রবাসী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের নজরদারিতে গাফলতির বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
একই পরিবারের ৯ প্রবাসী হোটেলে ফিরেছেন।

এদিকে, উধাও হওয়া প্রবাসী পরিবারের ৬ সদস্যকে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যারাত ৮টার দিকে প্রবাসীরা হোটেলে ফিরলে ৯ জনের মধ্য থেকে ৬ জনকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন। বাকি ৩ জন শিশু হওয়ায় তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা যায়নি।

চলে যাওয়া প্রবাসীরা হলেন- আব্দুল মালিক (৪৬), রুনা আক্তার (৪৪), তামিমা আক্তার(৯), তায়্যিবা আক্তার (১১), রুবাবা আক্তার (৪৩), রাহিমা বেগম (৪৩), রাদিয়া আক্তার (১১), সায়েমা বেগম (১৮) ও এম তাহমিদ চৌধুরী (৪)।

গত ১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় বিজি-২০২ বিমানের ফ্লাইটে করে ১৫২ জন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। পরে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং সব ধরণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে ১৪৭ জনকে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য বাসযোগে বিমানবন্দর থেকে নগরীর নির্ধারিত আবাসিক হোটেলগুলোতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নগরীর আম্বরখানাস্থ হোটেল ব্রিটেনিয়ায় ৩৫ জন প্রবাসীকে রাখা হয়।

এদিকে, প্রতিদিনের মতো রোববার (২১ মার্চ) সকালে রুটিন চেক করে হোটেল কর্তৃপক্ষ সকল প্রবাসীকে নিজ নিজ কক্ষে পেলেও দুপুর থেকে হোটেলের ২০৩, ৬০৩ নম্বর কক্ষে থাকা একই পরিবারের ৯ প্রবাসীকে খুঁজে পাননি। বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারার পর রেজিস্ট্রি এন্ট্রি খাতায় দেয়া মোবাইল ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে উধাও হওয়া প্রবাসীরা সিলেটের জকিগঞ্জস্থ বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানান। তবে পরিবারের একজন অসুস্থ সদস্যকে দেখে তারা আবারও হোটেলে ফিরে আসবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস)বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের প্রবাসীদের উধাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই হোটেলে একজন এ.এস.আই-এর নেতৃত্বে ১ জন পুরুষ ও ২ জন নারী কনস্টেবল দায়িত্বরত রয়েছেন। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও কীভাবে প্রবাসীরা বাড়ি চলে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বা হোটেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন