সিলেটে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাস এর নতুন ধরন (স্ট্রেইন) সিলেটের শনাক্ত হওয়ায় বাড়ছে আতঙ্কও। টিকা নেওয়ার পরও অনেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সিলেট নগরী গুরে দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধী মানছেননা কেউই। এমনকি অনেকেই মাস্ক পরিধান ও করছেন না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শীতকালে দেশে অন্যান্য ভাইরাস সক্রিয় থাকায় করোনা সংক্রমণ খুব বেশি হয়নি। তবে গরম চলে এলে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে।
এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসা প্রবাসীদের মধ্যে সিলেটের একজন এবং ঢাকার পাঁচজনের শরীরের করোনার নতুন ধরন শনাক্তের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তথ্যমতে ফেব্রুয়ারি মাসের সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯২ জন। মার্চ মাসে ১৩ দিনে রবিবার সকাল এগারোটা পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬৩ জন রোগী।
যুক্তরাজ্য থেকে সপ্তাহে দুদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর দুটি সরাসরি ফ্লাইট সিলেট অবতরণ করে। গত একমাসে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন ৯৮৯ জন যাত্রী।গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট এসেছেন ১৪৭ জন যাত্রী,তাদের মধ্যে ১৪৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৯ টি হোটেলে প্রেরন করা হয়েছে। ৩ জন যাত্রীকে যুক্তরাজ্যে করোনা দুই ডোজ টিকা গ্রহণের ১৪ দিন পর দেশে ফিরেছেন বিধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে যুক্তরাজ্য থেকে আসা প্রবাসী বাংলাদেশীদের শরীরে করোনাভাইরাস এর নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হয় ৫ জানুয়ারি। ৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।তারা প্রত্যেকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছিলেন।তাদের অবস্থান ছিল ঢাকা ও সিলেটে।এদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়,বাকি ব্যক্তিদের নিজ বাড়িতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে বলা হয়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা.আনিসুর রহমান জানান, শীতের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে-এ,ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস-বি সহ এরকম কয়েকটা ভাইরাস সক্রিয় থাকে। ফলে অনেকেই এ সময় জ্বর- সর্দিতে আক্রান্ত হোন।একটি ভাইরাস যখন শরীরে থাকে তখন অন্য ভাইরাস শরীরে সহজে ঢুকতে পারে না। ফলে শীতে করোনার প্রকোপ অন্যান্য দেশের চেয়েও বাংলাদেশ কম ছিল।তবে শীত মৌসুম চলে যাওয়ার কারণে অন্যান্য ভাইরাসগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় এখন করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিগত কিছুদিন থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকাংশেই বাড়ছে, তাই আমাদেরকে এখন আরো সতর্ক থাকতে হবে মাক্স পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।