আদালতের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত না থেকে বারবার কালক্ষেপণ করায় ১২ ঘন্টা পুলিশ হেফাজতে থাকলেন সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার বাদী। শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১১টা থেকে সকাল প্রায় ১১ টা পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে আদালতে হাজির করলে অবশেষে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মোহিতুল হক।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি তারিখে বাদীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারি করেন আদালত।
এদিকে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, গত ১৭ জানুয়ারি এ মামলার চার্জ গঠন করা হলে ২৪ জানুয়ারি তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে যথাসময়ে আদালতে উপস্থিত থাকতে বাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। পরবর্তীতে ২৪ তারিখে বাদী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত মামলার বাদীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ পরোয়ানার বলেই গত ৬ তারিখ দিবাগত রাতে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তারা হলেন— সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।