সিলেট ব্যুরোঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শহীদ সিরাজ লেক “নীলাদ্রি হ্রদ” বা “নীলাদ্রি লেকের একমাত্র রাস্তার উপর বি সি আই সি এর পরিত্যাক্ত ভারী ক্রেনের নীচ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন চলছেন স্হানীয় বাসিন্দা সহ হাজার হাজার পর্যটকরা।
ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শহীদ সিরাজ লেক “নীলাদ্রি হ্রদ” বা “নীলাদ্রি লেক”। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রায় প্রতিদিন সেখানে ভীড় করেন দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক। নীলাদ্রি লেকের তীরবর্তীতে চলাচলের একমাত্র রাস্তার উপর দাড়িয়ে রয়েছে ট্যাকেরঘাট চুনা পাথর খনি প্রকল্পের পরিত্যাক্ত দুটি ভারী ক্রেন। এ প্রকল্পটি বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ড্রাস্টিজ কর্পোরেশন (বি সি আই সি) এর একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।
ট্যাকেরঘাট চুনা পাথর খনি প্রকল্পটি ১৯৯৬ সালে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহা বন্ধ করে দেয়। তখন থেকে এ প্রকল্পে ব্যাবহারিক বিভিন্ন রকম পরিবহন যান্ত্রিক মেশিনারীজ গুলো যেখানে যে অবস্হায় ছিলো সে অবস্হায় এখনো পড়ে আছে,তবে ইতিপূর্বে কিছু কিছু মেশিন ও যন্ত্রাংশ সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ,তবে এখন পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন রকম যন্ত্রাংশ খোলা আকাশের নীচে সেখানে ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। এরকম দুটি ভারী ক্রেন নীলাদ্রির পাড় দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তার দুপার্শে দাড়িয়ে রয়েছে।
ক্রেন দুটির নীচ দিয়ে প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে চলছেন স্হানীয় বাসিন্দারা সহ হাজার হাজার পর্যটকরা। এগুলো ছিড়ে পড়ে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনটি সরজমিন দেখে লক্ষ্য করা যায়।
ট্যাকের ঘাটের স্হানীয় বাসিন্দা ও গাড়ি চালক জসিম উদ্দিন বলেন,প্রায় ২৭-২৮ বছর যাবত বি সি আই সি’র ক্রেন দুটি এভাবে রাস্তার উপর রয়েছে,তারা নিরুপায় হয়ে বিকল্প রাস্তা না থাকায় এর নীচ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়ত করছেন,তিনি বলেন এর নীচ দিয়ে চলাচলের পথে সব সময়ই সবার মধ্যে একটা শঙ্কা থাকে,এ শঙ্কা নিয়েই বহুবছর যাবত আমরা চলছি,তবে জানিনা কখন কি ঘটে।
এপ্রসঙ্গে স্হানীয় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলী হায়দার বলেন,নীলাদ্রি তীরে ক্রেন দুটির নীচ দিয়ে যে রাস্তা সেটি হচ্ছে এ অঞ্চলের চলাচলের প্রধান সড়ক,ওই এলাকা পর্যটন ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে এটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি,স্হানীয় জনগন,ছাত্র-ছাত্রী, ব্যাবসায়ী পর্যটকরা চলাচল করে থাকেন,রাস্তার উপর ক্রেন দুটি টানা দিয়ে প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে এভাবে পড়ে আছে, মানুষজন খুবই ঝুকিতে এগুলোর নীচ দিয়ে চলাচল করেন, তাই জননিরাপত্তায় ক্রেন দুটি রাস্তার উপর থেকে দ্রুত অপসারন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির বিয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে বলেন, তিনি এবিষয়ে অবগত আছেন,বি সি আই সি কর্তৃপক্ষকে এটা অপসারন করতে ইতিপুর্বে উপজেলা প্রশাসন থেকে চিটি লিখা হয়েছে,আবারও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বি সি আই সি কর্তৃপক্ষের সাথে সাথে যোগাযোগ করে জনস্বার্থে সেটি দ্রুত অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।