সিলেট নগরীর ১১টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এ কারণে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে রয়েছে।সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যে এই ১১টি স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার থেকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ্য থেকে সিলেট নগরীতে মাইকিং করে নানা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সিসিক সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে যেন এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেজন্য নগরীর সম্ভাব্য স্থানগুলোতে গেল গত এক মাস থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নগরীর হাওয়াপাড়ার সিলসিলা নার্সারি, লামাবাজারের হাবিব টাওয়ারের গ্যারেজ, সিলভ্যালী টাওয়ারের গ্যারেজ, সুবিদবাজারের একটি টাইলসের দোকান, পাঠানটুলার একটি বাসা, ২৬ নং ওয়ার্ডসহ মোট ১১টি জায়গায় এ পর্যন্ত এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সাধারণত বাসার ফুলের টব, ডাবের খোসা, টায়ারের দোকানসহ পরিত্যক্ত জায়গায় জমে থাকা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। যেসব জায়গায় ওই মশার লার্ভা পাওয়া গেছে আমরা প্রথম অভিযানের পর আরও কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। যেসব জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে সেখানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কারো বাসাবাড়ি, দোকান কিংবা কোন জায়গায় পানি যেন জমে না থাকে সেজন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। কারণ জমে থাকা পানিতেই এডিস মশার জন্ম হয়। এছাড়া সিলেটে ইতিমধ্যে একজন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসক। সেখান থেকে তিনি সংক্রমিত হয়ে সিলেটে এসেছিলেন। পরে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হওয়ার পর ঢাকায় ফিরে যান।