English

17 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

সিলেটে বৈশাখের আনন্দ রূপ নিল কান্নায়!

- Advertisements -

বাংলা নববর্ষের আগমন উপলক্ষে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থাকে আনন্দ-উৎসবের। আনন্দপূর্ণ সেই বৈশাখের আজ প্রথম দিন। কিন্তু সিলেট বিভাগে বৈশাখের আনন্দ রূপ নিয়েছে কান্নায়। সিলেটের আকাশে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে মৃত্যুদূত! রাত পোহাতেই সেই দূত একে একে কেড়ে নিয়েছে ৮টি তাজা প্রাণ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কালবৈশাখী ঝড়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাছ চাপায় মা ও দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আর শাল্লায় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা ও ছেলে। প্রায় একই সময় হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিনজন।

তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শাল্লা থানার ওসি এবং হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জগন্নাথপুরের পাটলি ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ভোরে গাছচাপার ঘটনাটি ঘটেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শুশঙ্কর পাল জানান, ভোররাতে ঝড় শুরু হলে সোলেমানপুরে গাছ ভেঙে একটি টিনের চালের ওপর পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়েন ঘুমিয়ে থাকা মৌসুমা বেগম এবং তার ৪ বছরের মেয়ে মাহিমা আক্তার ও ১ বছরের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন।

আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নাসিরপুর গ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। সে সময় বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন কৃষক মুকুল খাঁ, তার দুই ছেলে ও তার শ্যালকের ছেলে। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মুকুল ও তার ৭ বছরের ছেলে মাসুদ খাঁ।

ওসি আরও জানান, মুকুলের আরেক ছেলে ১১ বছরের রিমন খাঁ ও তার শ্যালকপুত্র ৭ বছরের তানভীরকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সকালে দুই গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিন জন। বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন- বানিয়াচং সদরের তাতারি মহল্লার ১২ বছরের মোহাম্মদ হুসাইন, জাতুকর্ণ পাড়ার ১২ বছরের ঝুমা বেগম ও পুকড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের আলমগীর মিয়া।

ইউএনও পদ্মাসন সিংহ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে তিনবার বজ্রপাত হয়। ঘটনার সময় হুসাইন আলী হাওরে ঘাস কাটছিলেন ও আলমগীর মিয়া আরেক ক্ষেতে ধান কাটছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। আর ঝুমা বজ্রপাতের শিকার হন বাড়ির পেঁপে গাছ থেকে পেঁপে পাড়তে গিয়ে।

তিনি আরও জানান, মৃতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন