সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নবঘোষিত আংশিক কমিটি টাকার বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। এই কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ চলবে। সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৩)অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন, শত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ইতিমধ্যে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি ঘােষণা করা হয়েছে।
আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অছাত্র, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিদেশে ব্যাপক আলােচিত সিলেট এমসি কলেজের হােস্টেলে ধর্ষণ মামলার আসামিদের গড ফাদার, বিভিন্ন চেক অবমূল্যায়ন (ডিজঅনার) মামালার আসামি, বিশেষ করে ফ্রিডম পার্টির নেতার নাতিকে নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘােষণা করায় আমরা সিলেটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লজ্জিত, চরম হতাশ এবং বিব্রত। আমরা ঘােষিত এই কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
লিখিত বক্তব্যে সামাদ আরও বলেন, আমাদের অভিভাবক সংগঠন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে কোনো প্রকার যােগাযােগ বা অবহিত না করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের যে কমিটি ঘােষণা করেছে সেটি সিলেট ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখান করেছে।
আমরা কোনোভাবেই অর্থের বিনিময়ে অছাত্র, অপরাধ রাজ্যের গড ফাদার, বিভিন্ন চেক অবমূল্যায়ন (ডিজঅনার মামলার আসামি, বিশেষ করে ফ্রিডম পার্টির নেতার নাতি নিয়ে ঘােষিত ছাত্রলীগের জেলা ও মহানগর কমিটি মেনে নিবাে না।
আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের ঘােষিত কমিটি বাতিল করে প্রকৃত ত্যাগী ও গ্রহণযােগ্য ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নতুন করে গঠনে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা।