করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান শাটডাউনের ষষ্ঠ দিন মঙ্গলবার ৬ জুলাই সিলেটের সড়কগুলোতে গাড়ির আধিক্য ও মানুষের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব গাড়িগুলো বৈধভাবে চলছে কি না, তা নিশ্চিতে গত কয়েকদিনের তুলনায় ঢিলেঢালা ভাবে চলছে চেকপোস্ট। তবে চেকপোস্টগুলোতে বেশীর ভাগই মোটরসাইকেল আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে।
দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলো সড়কে বেশী পাওয়া যাচ্ছে। তবে শাটডাউনে যাদের চলাচলের অনুমতি আছে, তারাই রাস্তাই বের হচ্ছেন।
পুলিশ বলছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া মানুষদের আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাদের সড়কে যারা যানবাহন নিয়ে চলাচল করচেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহেরবলেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে আগে সচেতন হতে হবে। পুলিশের পক্ষে একা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এটা একটা কঠিন কাজ। তবুও পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য।
নিজেরা সচেতন হলেই কঠিন এই সময়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। জনগণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত ১ জুলাই সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরুর ভেতরেই করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে সোমবার ৫ জুলাই নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়।