সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লুৎফুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে নগরীর মানিকপীর কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য পাওয়া এই রাজনীতিবিদের দাফন সম্পন্ন হয়।
বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ নেতার জানাযায় অংশ নিতে জুমআর নামাজের পরপরই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হতে থাকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারাও। এতে জানাযা শুরুর আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে নগরীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি নগরীর নয়াসড়কস্থ একটি প্রাইভেট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের মৃত্যুতে গতকাল শোক প্রকাশ করেছে নিসচা শাখা
বৃহস্পতিবার ২ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মহানগর শাখা নেতৃবৃন্দরা বলেন অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান একজন সৎ ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সকলের কাছে একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের সংবিধানে অন্যতম প্রনেতা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন।নেতৃবৃন্দরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি মহান রব্বুল আলামীন তাকে যেন জান্নাতের উচ্চ মকাম দান করেন। নেতৃবৃন্দরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আজীবন সদস্য জহিরুল ইসলাম মিশু, সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি এম ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি ঈমানুর রশিদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী পাভেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান চৌধুরী, আতিকুর রহমান খান মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান তফাদার মুক্তার সহ মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।