করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ থেকে মাঠে রয়েছেন সেনাসদস্যরা। বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একইভাবে সরকারের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে জরুরি যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন বন্ধ ছিল। দোকানপাট, বিপণিবিতান খুলতে দেখা যায়নি। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল-নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। লকডাউনের প্রথম দিনে সকাল থেকে প্রায় জনশূন্য অবস্থায় রয়েছে বড়লেখা পৌর শহর। তবে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশনা অনুযায়ী বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী’র নেতৃত্বে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি’র যৌথদল উপজেলার হাজিগঞ্জ বাজার, কাঠালতলী বাজার, রতুলী বাজার, আজিমগঞ্জ বাজার, কানোনগোবাজার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
এদিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাগ ও চান্দগ্রাম এলাকায় দুটি চেকপোস্টে বসিয়ে পুলিশ কাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে পুলিশের সচেতনতা প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
আজকের প্রথম দিনের চলমান লকডাউনের অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত লায়লা নীরা, জুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মাহাদি, থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার প্রমুখ।