English

23 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
- Advertisement -

পুরো দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলেই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে: সারজিস আলম

- Advertisements -

জহিরুল ইসলাম মিশু,সিলেট ব্যুরো,নিরাপদ নিউজ: জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলেই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।এসময় তিনি বলেন,শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেননি, এই অভ্যুত্থানও হয়নি।

দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য এসব মানুষ বিগত ১৬ বছর ধরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল তাদের। এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়েও হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন নাড়াতে পারেনি।শনিবার সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভাগের নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।সারজিস আলম আরও বলেন, রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া হবে- এমনটি নয়।

আবার আগামী ৫-৬ বছর লাগবে সংস্কার করতে- বিষয়টি এমনও নয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে- এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। ১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। সর্বোপরি বিগত ১৬ বছরসহ দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য দেশের মানুষকে একটি জনতার সরকার উপহার দিতে পারেনি। তাই সংবিধানেরও সংস্কার প্রয়োজন।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন।

এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না। আর শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। এর সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। এরমধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরও সংস্কার করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচারব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন।

হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর বসে আছে। যারা তাদের যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। পাশাপািশ যারা এসব জায়গার যোগ্য তাদেরকে সেখানে বসাতে হবে।

শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এছাড়া সংগঠনটির আরও ৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১৮টি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন