সিলেট ব্যুরো: নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রথম দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপাড় মৎস্য ভবন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতনিমিয় সভায় বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, বিভাগীয় সহকারী পরিচালক আল মিনান নূর।
মৎস্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে হাওরাঞ্চলে দেশীয় প্রজাতীর মাছ সংরক্ষণ, মা মাছ এবং রেণু পোনা নিধন বন্ধে সরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন। এ ছাড়া মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, সিলেটে বন্যার কারণে মৎস্য খামারিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক থেকে দুই বছর লাভ করলেও তিন বছরের সময় বন্যায় লাভ-আসল সব হারিয়ে ফেলেন। ফলে খামার করতে নিরুৎসাহিত হন উদ্যোক্তারা। তাই এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের প্রণোদনা তথা স্বল্পমূল্যে ঋণ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন,সরকারের পক্ষে মৎস্য বিভাগ বিল, নার্সারি স্থাপন, পোনা অবমুক্তি, প্রদর্শনী-কামার স্থাপন, প্রশিক্ষণ দেওয়া, পরামর্শ দেওয়া, পুকুরের পানি পরীক্ষা, মাছ চাষের বিভিন্ন উপকরণ প্রাপ্তিতে সহায়তাকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে জনবল কম থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয় না। একজন কর্মকর্তা দিয়ে তিন থেকে চারটা উপজেলা চালাতে হয়। সিলেটের বাইরের যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আসেন, তারা কোনো না কোনো ভাবে তদবির করে চলে যান। তাই সিলেটের কোটায় জনবল প্রয়োজন। আর কীটনাশক ব্যবহারে প্রকৃতিগতভাবে মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ থেকে রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার কমাতে পারলে মাছের প্রজনন বাড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া মাছের উৎপাদনে আমন চাষে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে চলমান কর্মসূচীর মধ্যে ২৪ জুলাই র্যালি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পোনামাছ অবমুক্তকরণ, ২৫ জুলাই সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সাথে মতবিনিময়, ২৬ জুলাই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, ২৭ জুলাই মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ সেবা প্রদান, ২৮ জুলাই সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ২৯ জুলাই মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও সিলেটের ডাকের চিফ রিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম,বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট নাসির উদ্দিন প্রমুখ।