সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় গরু চুরি করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার সকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরান তেতলী এলাকার ধরাধর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির নাম বাচ্চু মিয়া (৩১)। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডেঙ্গা্রবন গ্রামের ছুরত আলীর ছেলে। তিনি দক্ষিণ সুরমার খোজারখলায় এরশাদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। সিলেটে তার বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি একটি ডাকাতি মামলায় কারাগারে ছিলেন। ৪ মাস আগে ছাড়া পান। ছাড়া পেয়েই ফের জড়িয়ে পড়েছেন চুরিতে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ধরাধরপুর গ্রামে একটি বাড়ির গরু ঘরে চোরেরা হানা দেন। বাচ্চু মিয়া ও তার সঙ্গীরা ঘরের বাইরের তালা ভেঙে ফেললেও ভেতর দিয়ে তালাবদ্ধ থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। এ বাড়িতে ব্যর্থ হয়ে পাশের বাড়িতে চুরি করতে যান তারা। কিন্তু কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করলে বাড়ির লোকজন জেগে ওঠেন।
তখন ওই বাড়ির লোকজন শুনতে পান- গোয়ালঘরের পাশে কে যেন জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ঘরের লোকজনের ফোনে আশপাশের লোকজনও ছুটে এসে দেখতে পান, কাদামাটি গায়ে লেগে থাকা এক ব্যক্তি (বাচ্চু) মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তাৎক্ষণিক তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে খবর দেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসার আগেই বাচ্চু মারা যান। পরে সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বাচ্চু মিয়া একজন চিহ্নিত চোর ছিলেন। মোগলাবাজার থানায় তার নামে ডাকাতি মামলাও রয়েছে। ওই মামলায় ৪ বছর আগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। চার মাস আগে ছাড়া পেয়ে তিনি আবারও চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন- বাচ্চু মিয়া কারাগারে থাকাকালে আরও দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।