English

19 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

কৈলাসটিলার ৭ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু

- Advertisements -

জহিরুল ইসলাম মিশু: নিরাপদ নিউজঃসিলেট গ্যাস ফিল্ডের অধীনস্থ কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার ১৪ মে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।গ্যাস সরবরাহ কাজের উদ্বোধন করেন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন।

সিলেট গ্যাসফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (পরিচালন) প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক জানান,শনিবার সকাল ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭ নম্বর কূপ থেকে গত ৭ মে পরীক্ষামূলক গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া সফলতা পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুরোদমে গ্যাস সরবরাহ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে আজ শনিবার আনুষ্ঠানিক গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।

সিলেট গ্যাসফিল্ড সূত্রে জানা যায়, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের সাতটি কূপের মধ্যে এতোদিন দুটি কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতো। এখন ৭ নম্বর কূপ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে। সবমিলিয়ে এখান থেকে ৪ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০১০-১২ সালে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বাপেক্সের কারিগরি সহায়তায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলা, জৈন্তাপুরের হরিপুর ও হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে নতুন করে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক (থ্রিডি সাসমিক) জরিপ চালানো হয়। এ জরিপে কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭ নম্বর কূপে তেল ও গ্যাস মজুতের সম্ভাব্যতা পায় বাপেক্স। এ কূপের ১২টি স্তরে তেল ও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানায় তারা। তন্মধ্যে চারটিতে তেল, একটিতে তেল-গ্যাস আর বাকি সাতটিতে গ্যাস মজুতের ধারণা দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাপগঞ্জ সফর করে দেশের প্রথম তেল খনি হিসেবে ঘোষণা করে এই কূপের খনন কাজের উদ্বোধন করেন। পুরোদমে খনন শুরু হয় ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর। ২০১৫ সালের ৮ মার্চ খনন কাজ শেষে একটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পেলেও তেলের খোঁজ পায়নি বাপেক্স। ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রিডে ৮-১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় এই কূপ থেকে। কিন্তু ২০১৬ সালের অক্টোবরে গ্যাস উত্তোলনের হার ০.৫ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এলে ২ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায় এই কূপ।

এখন পুনরায় শুরু হলো গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ। মূলত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ কূপটিতে ওয়ার্ক-ওভার শুরু করে। তাদের হয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বাপেক্স এই কাজ শুরু করে। বাপেক্সের কাজ শুরু হয় গেল মাসে।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জাতীয় গ্রিডে এই কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। এখন এই কূপ থেকে ২ হাজার ৮০০ পিএসআইতে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ কূপটি (৭ নম্বর) ওয়ার্ক ওভারের আগে তাদের প্রত্যাশা ছিল দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এখান থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু দৈনিক পাওয়া যাচ্ছে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর সঙ্গে উপজাত হিসাবে মিলবে দৈনিক ২৫০ ব্যারেল কনডেনসেট যা থেকে ২২ লাখ টাকার জ্বালানি তেল পাওয়া যাবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন