সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার(২৯)সেপ্টেম্বর বিকেলে পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়া হবে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলাবার কমিটির সদস্যরা তদন্ত কাজে সিলেট এসে এমসি কলেজ পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিং করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউসি) পরিচালক (প্রশাসন) শাহিদুল কবির চৌধুরী বলেন, এ রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণধর্ষণ একটি নিন্দনীয় ঘটনা। যেহেতু আমরা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক এবং সাতদিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে। আমরা এমসি কলেজের প্রশাসন অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। আগামীকালও আমরা সিলেটে আমাদের তদন্ত কাজ চালাবো।
তিনি আরও বলেন,করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরও ছাত্রাবাস কেন খোলা ছিল এ বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুইজন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় ছয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯। তাদের মধ্যে ছয়জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন