রাজীব ঘোষ, মহানগর প্রতিনিধি: সিলেট নগরীর অবৈধ অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিলেট বিএনপি। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ উদ্বেগের কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, জুলাই বিপ্লবে, বিশেষ করে গত ৪ আগস্ট নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। উপরন্তু, এসব অবৈধ অস্ত্র চুরি,ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে এসব অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর এসব অভিযোগে সিলেটে বিএনপি ১০ জনকে বহিষ্কার করেছে। সমাজবিরোধী কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাংচুরের সাথে বিএনপির কোন পর্যায়ের নেতা-কর্মী জড়িত নেই। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কারশেষে জাতিকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিএনপি। কিন্তু সিলেটের প্রশাসনের উপর অর্পিত দায়িত্বপ্রাপ্তরা সঠিকভাবে পালন করছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা সম্প্রতি সিলেট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পরাজয় ইস্যুতে বলেন, সিলেট জেলা বারে দলীয় নির্বাচন হয় না। এখানে ব্যক্তির ইমেজের ওপর নির্বাচন হয়। মূলত; এ কারণেই জাতীয়তাবাদি ফোরামের প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি।
এছাড়া বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কতিপয় চিনিকাণ্ডসহ নানা ঘটনায় সমালোচনার বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, কেউ অপরাধ করলে কিংবা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো অপকর্ম করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, বিগত দিনে এর নজির রয়েছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ ।