সিলেটে নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত শনাক্তের হার কমছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা কওে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮১ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের দিনের তুলনায় গেল ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। তবে আগের দিন ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে যে ১৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ৭৯ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ১৯ জন, হবিগঞ্জের ১৮ জন ও মৌলভীবাজারের ৪৩ জন। এছাড়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
নতুন এই ১৮১ জনসহ বিভাগে করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৬ জনে। এর মধ্যে সিলেটের ২৭ হাজার ৭১০ জন, সুনামগঞ্জের ৬ হাজার ৩৭ জন, হবিগঞ্জের ৬ হাজার ২৩৯, মৌলভীবাজারের ৭ হাজার ৬১৬ ও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ৪ হাজার ৪৩৪ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী ১২ জনের মধ্যে ১১ জন সিলেট জেলার ও একজন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী। নতুন এই মৃত্যুবরণকারীদের নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনায় মারা যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২৭ জনে। এর মধ্যে সিলেটের ৭৪৯ জন, সুনামগঞ্জের ৭০ জন, হবিগঞ্জের ৪৬ জন, মৌলভীবাজারের ৭০ জন ও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন সিলেট জেলায়। বাকিদের মধ্য সুনামগঞ্জের ৩০ জন, হবিগঞ্জের ৬ জন, মৌলভীবাজারের ৯৩ জন ও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ জন রয়েছেন।
আর এ নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ৪২ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে সিলেটের ২৭ হাজার ৯৪৭ জন, সুনামগঞ্জের ৪ হাজার ৬৩৯ জন, হবিগঞ্জের ৩ হাজার ৩৪৫ জন, মৌলভীবাজারের ৫ হাজার ৮০৩ জন ও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৭১ জন।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। এর মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন ও হবিগঞ্জে ১ জন ভর্তি হয়েছেন।