সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নাহেদ: দি সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডিয়াম গঠন ইস্যুতে এবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। চেম্বারের নতুন প্রেসিডিয়ামের দায়িত্ব গ্রহণ ঠেকাতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে নির্বাচিত পরিচালক ও সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়া আব্দুর রহমান জামিল। নতুন পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ ঠেকাতে তিনি গত গত ১৫ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে চেম্বারের কার্যক্রমের উপর উচ্চ আদালত থেকে স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আপীল বিভাগে রীট পিটিশনের বিরুদ্ধে আবেদন করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। তার করা আবেদনটি সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বার জজ শোনানী করেন। শোনানী শেষে পরিচালক আব্দুর রহমান জামিলের করা রীটের স্থগিতাদেশ দেন এবং রীট পিটিশন ফুল বেঞ্চে বদলীর আদেশ দেন।
আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী মো. আলী আযম তার স্বাক্ষরিত প্যাডে আদালতের এই নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, গত ২২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন (নং-১৩১০৯) স্থগিত করে আগামি ২৪ জানুয়ারি ফুল বেঞ্চে নিয়মিত হিসেবে শোনানীর আদেশ দেন।
সিলেট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আব্দুর রহমান জামিলের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তড়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালককে (বাণিজ্য সংস্থা) নির্দেশ দেন আদালত। রিটের শুনানি শেষে বুধবার এই নির্দেশনা দেন বিচারপতি এম এনায়েতুর রহমান ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।
এই স্থগিতাদেশের উপর নতুন নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতির করা আবেদনের শোনানীর কারণে সিলেট চেম্বারের প্রেসিডিয়াম গঠনে বাধা কেটে গেলো বলে জানিয়েছেন চেম্বারের নতুন প্রেসিডিয়ামে সংশ্লিষ্টরা। গত ১১ ডিসেম্বর সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্যানেল সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ১১ জন করে পরিচালক নির্বাচিত হন। গত ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও দুই সহসভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রহমান জামিল। তবে বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে জামিল ও তার প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী হুমায়ুন আহমদের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
প্রতিবাদে প্রেসিডিয়াম নির্বাচন বর্জন করেন সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে জয়ী ১১ পরিচালক। একপক্ষের বর্জনের পর ওই রাতেই সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী তাহমিন আহমদকে সভাপতি এবং সহ-সভাপতি পদে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ ও আতিক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০ ডিসেম্বর চেম্বারের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের (বাণিজ্য সংস্থা) কাছে আবেদন করেন আব্দুর রহমান জামিল।
পরে তিনি চেম্বার নির্বাচন-পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর অন্তরবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরসহ নির্বাচন-পরবর্তী সব কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।