সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান বলেছেন-খেলাধুলা এক দিকে যেমন যুবসমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে তেমনি মানুষের শরীর ও মনকে ভালো রাখে।
মঙ্গলবার (২২মার্চ) সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব – মাহা অভ্যন্তরীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ২০২২ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের সারাদিন মাঠে-ময়দানে কাজ করতে হয় বলে খেলাধুলার সুযোগ কম থাকে। তার পরও সময় বের করে মাঝে মধ্যে খেলা ধুলা করতে হবে কারণ খেলাধুলায় পেশার উৎকর্ষ সাধন হয়।
ক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, মাহা ফ্যাশন হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসানুল আলম তুসার, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ ও কোষাধ্যাক্ষ আব্দুল মুহিত দীদার।
ক্লাব সদস্য এম এ ওয়াহীদ চৌধুরীর কন্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সহ সভাপতি মো: গোলজার আহমদ হেলাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, বর্তমান সরকার খেলাধুলার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন। ক্রীড়াশৈলী মনোভাব সৃষ্টিতে অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ব্যাপক অবদান রাখে। তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে দেশে-বিদেশে অনেক বিত্তশালী আছেন তাদেরকেও এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হবার কারণে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের গ্রহন যোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহিত চৌধুরী বলেন, শুধু টাকা-পয়সা থাকলে সবাই সব কিছু করতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন উদার মন মানষিকতা। সিলেটের খেলা-ধুলা উন্নয়নে মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমে অবদান সিলেটবাসী চিরদিন মনে রাখবে।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যারা পুরস্কার গ্রহন করেন তারা হলেন- লুডুতে প্রথম মো: কামাল আহমদ, দ্বিতীয়- দেবব্রত রায় দিপন।
সাপ লুডুতে প্রথম জসিম উদ্দিন, দ্বিতীয়-ফারহানা বেগম হেনা। ক্যারাম-এ প্রথম নূরুল আমীন, দ্বিতীয়- দেবব্রত রায় দিপন। দাবাতে প্রথম মাহমুদ হোসেন খান,দ্বিতীয়-নূরুল আমীন।
প্রীতি ইনডোর ফুটবল ম্যাচ: বিজয়ীদলের সদস্যরা হলেন: নূরুল আমীন, আশীষ দে, কে এ রহিম সাবলু,কামরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম মিশু। দলীয় অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম মিশু ক্রেস্ট গ্রহন করেন।
শিশুদের বইপড়া: প্রথম- দেবদুতি প্রণমী মিথী, দ্বিতীয়- নিশাত হেলাল তাসকিয়া। কবিতা আবৃত্তি: প্রথম- দীপাম্বিতা দিপা, দ্বিতীয়- তাওসিফ হেলাল তাহা। শিশু লুডু: প্রথম- তাওসিফ হেলাল তাহা, দ্বিতীয়- ইফফাত, তৃতীয়,- নিশাত হেলাল তাসকিয়া। বিশেষ পুরস্কার: তানজিম ও তাহমিদ।