সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় সংস্কারাধীন সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে রাতের আধারে কার্পেটিং শেষ করা হলেও যা টিকলো না ছয় ঘন্টাও। সকাল হতেই উঠে গেল সেই কার্পেটিং। মানহীন কাজের কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠা শুরু হলে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দেয় ক্ষোভ। এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলছেন – মানহীন কাজের কারণে রাতে কাজ করা হলেও সকাল হতেই কার্পেটিং উঠে গেছে। আর কর্তৃপক্ষ বলছেন পুরো কাজ ভালো করে হলেও সামান্য কিছুতে সমস্যা হওয়ায় ফের কাজ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে পাঠানটুলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ব্রিজের মুখ থেকে মদিনা মার্কেট পর্যন্ত চলছে সড়কের সংস্কার কাজ। কিন্তু পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় লাগোয়া পাশে গাড়ির চাকার
সাথেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং। তবে কার্পেটিং উঠা শুরু হলে ফের নতুন করে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে- ২৩ শত স্কয়ার ফুটের এ সড়কটি মোট ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে টেন্ডার প্রকাশ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সে অনুযায়ী কাজ পায় মো. আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের মেয়াদকাল ধরা হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই কাজে মাটি খুড়ে ৬ ইঞ্চি মেকাডম, ১২ মিলি সিলকোট ও উপরে ২ ইঞ্চি কার্পেটিং করার কথা। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সঠিক নিয়মে কাজ না হওয়ায় সড়কের স্থায়িত্ব নিয়েও আছে সন্দেহ।
স্থানীয়রা বলছেন ইঞ্চি মেকাডমের জায়গায় দিয়েছেন মাত্র ২/৩ ইঞ্চি, ১২ মিলি সিলকোটের জায়গায় দিয়েছে মাত্র ৪ মিলি আর ২ ইঞ্চি কার্পেটিং এর জায়গায় দিয়েছে মাত্র পৌনে ১ ইঞ্চি।
দীর্ঘদিন থেকে এ সড়কটি খানাখন্দে ভরপুর থাকলেও সেদিকে খুব একটা নজর ছিলো না কর্তৃপক্ষের। সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট শহরের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে ভাঙ্গা থাকার কারণে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রচার হলে মাঝে মাঝে ইটের সুরকি আর কিছু মাটি ভরাট করা ছাড়া খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেয়নি সড়ক ও জনপথ। আর সড়ক ও জনপথের আওতায় হওয়ায় কারণে সিসিকের পক্ষ থেকেও ছিলো না কোন উদ্যোগ।
সড়ক ও জনপথ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সকল কিছু ঠিক নিয়মে চললেও কোন একটি ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। তিনি খবর পেয়ে টিকাদারকে দিয়ে পুনরায় কাজ করাচ্ছেন। কাজ শেষ হলে ভালো করে দেখে বুঝে তবেই কাজের টাকা পাবেন টিকাদার।