জহিরুল ইসলাম মিশু: সিলেটের বাজারে গত দুদিন থেকে পেঁয়াজের দামে সুবাতাস বইছে। সোমবার ১৪ মার্চ সিলেটে প্রতি কেজি পেঁয়াজ (এলসি) বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা কমে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সিলেটে ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। তবে গত দু-তিনদিন থেকে এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। কেজিপ্রতি কমেছে ২০-২৫ টাকা।তবে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে আবার হুট করে কমে যাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে হালি পেঁয়াজ উঠছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমেছে। সামনে দাম আরও কমবে বলে আশা করছেন তারা।
দাম বাড়ার পর ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, তারা পাইকার থেকে বেশি দামে কিনে আনেন বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকার বলছিলেন, বাজারে সরবরাহ কম। নতুন পেঁয়াজ এলে দাম কমবে।
দেশে চাল, তেল, ডালসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যখন অস্থিরতা চলছে, তখন পেঁয়াজের এই বিপরীতমুখী যাত্রা অবাক করেছে ক্রেতাদের। তবে তাতে স্বস্তিও আছে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন- রোজার আগে অন্যান্য পণ্যের দামও এভাবে কমে আসবে।
সিলেটের কালিঘাটের ব্যবসায়ীরা জানান, গত দু-তিন দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরা ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন, দুদিন আগেও ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। যা দুদিন আগেও ছিলো ৫০-৫৫ টাকা। এর আগে ছিলো ৬০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে এখনো মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। হালি পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। তাই পেঁয়াজের দাম কমেছে।
কয়েক দিনের মধ্যে এমন হঠাৎ বেড়ে আবার হুট করে দাম নেমে যাওয়ার ঘটনা দেশে আর কখন ঘটেছে মনে করতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা- যেসব পণ্যের দাম সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, তা পেঁয়াজের মতোই যেন নেমে আসে।