English

26 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

যুদ্ধে অংশ নিতে আফগানিস্তানে সিলেটের তরুণ আব্দুর রাজ্জাক

- Advertisements -

২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা থেকে নিখোঁজ সিলেট নগরীর লামাবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক। পরে খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানায়, রাজ্জাক আফগানিস্তানে চলে গেছেন। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তার আত্মীয়-স্বজন। পুলিশ নিশ্চিত করে জানায়, আব্দুর রাজ্জাক এখন আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন।

পুলিশের বক্তব্য, কথিত ‘হিজরত’ আর ‘মুসলমানদের রক্ষার’ নামে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িছাড়া। বড় ভাই সালমান খান তার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বড় ভাই সালমান গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বাসা থেকে বের হন আব্দুর রাজ্জাক। ‘দুদিন বন্ধুর বাসায় থাকব’- এমনটি বলে তিনি সিলেট নগরীর লামাবাজারস্থ বাসা ছাড়েন তিনি। সেখান থেকে রাজ্জাক যান বন্ধু ফরিদের বাসায়। ২৫ মার্চ ফরিদের বাসা থেকে নিজ বাসায় ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেননি তিনি।

সম্প্রতি আব্দুর রাজ্জাকের সন্ধান দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সংস্থাটি বলছে, ভারত হয়ে রাজ্জাক এখন আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন। তিনি একা নন, তার সঙ্গে আরও অনেক বাংলাদেশি যুবক আছেন। সেখানে তালেবানদের সহযোগী হিসেবে তারা কাজ করছেন।

শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজ্জাকের ভাই সালমান খান বলেন, রাজ্জাক লামাবাজারের একটি কলেজের শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই খুব শান্তপ্রকৃতির সে। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নিয়মিত নামাজ আদায় করে। খুব বেশি নয়, হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ছিল তার চলাফেরা। প্রয়োজন ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলত না রাজ্জাক। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সে যে আফগানিস্তান যেতে পারে— এটা বিশ্বাস হয় না।

রাজ্জাক কীভাবে আফগানিস্তানে গেল— জানতে চাইলে সিটিটিসি জানায়, প্রথমে ভারত, এরপর পাকিস্তান হয়ে তিনি আফগানিস্তান পৌঁছেছেন। হিজরতের নামে তালেবানদের সঙ্গী হয়ে যুদ্ধ করাই তার মূল উদ্দেশ্য। রাজ্জাক শুধু একাই যাননি। তার মতো আরও অনেক যুবক হিজরতের নামে গ্রুপ করে তালেবানদের ডাকে আফগানিস্তানে যাচ্ছেন। তারা তালেবানদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চান।

ছোট ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার দিনের বর্ণনা দিয়ে বড় ভাই সালমান জানান গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রাজ্জাক তার বন্ধু ফরিদের বাসায় যায়। সেখানে সে একদিন থাকবে বলে আমাদের জানায়। ফরিদ যেহেতু লামাবাজার এলাকার ভাতলিয়া মসজিদের হুজুর, মসজিদের কোয়াটারেই সে থাকে, এ কারণে বাধা দেইনি। এরপর সে আর ফিরে আসেনি।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ১ এপ্রিল কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করি। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন রাজ্জাক আমাকে বলেছিল, ‘আমি ফরিদের বাসায় যাচ্ছি, একদিন থাকব।’ আমি বলেছিলাম, ‘যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা করে যেও।’ কিন্তু সে দেখা না করেই ফরিদের বাসায় যায়। এর আগেও দুদিন সে তার কোন বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে থেকে এসেছে। সেই বন্ধুর পরিচয় আমার জানা নেই।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন