সিলেট ব্যুরো,নিরাপদ নিউজঃ টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটজুড়ে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছে। এতে বাসস্থান, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সিলেটের এই কঠিন সময়ে আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নিবেদিতপ্রাণ সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার (২১ জুন, ২০২২ খ্রি.) টুকের বাজার, হায়দরপুর, তপোবন, শামীমাবাদ, বিশ্বনাথ, উপশহর, সাহেব বাজার, বাদাঘাট, কানাইঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়া বাজারের কুমারগাঁও এবং পাইগাঁও এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন স্থানে শুকনো খাবার বিতরণকালে সিলেট কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিতাব আলী বলেন, বন্যায় অনেক দরিদ্র পরিবারের বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদ ও জীবন-জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ অবস্থায় দুর্যোগকবলিত অঞ্চলের অসহায় বানভাসি মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে পতিত হয়েছে। তাই বন্যা, অতিবৃষ্টি, ঝড় প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মূহুর্তে অসহায় মানবতার পাশে দাঁড়ানো দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অবশ্যই কর্তব্য। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ব্যক্তির আত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
শুকনো খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সেন্টার ইনচার্জ শাহরিয়ার আহমদ, আম্বরখানা শাখার পরিচালক অধ্যাপক শেখ আব্দুর রশিদ এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন জয়নুল আবেদীন, আব্দুল মালেক খান শাফি, নাসের আহমদ, তারেক মজুমদার, মোতাহির আলী, আসাদুজ্জামান, জাকির আহমদ, জিয়াউর রহমান, গোলাম মাওলা এবং বদরুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৮০০ কেজি মুড়ি, ৪০০ কেজি চিড়া, ২৫০ কেজি গুড়, ২৫৮০ পিছ মোমবাতি, ৭৮০ পিছ দিয়াশলাই, ৩৫০ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি। এছাড়া বন্যার শুরু থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নিজস্ব নৌকার মাধ্যমে শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা আসছে।