সিলেটের অন্যতম স্থলবন্দর তামাবিল দিয়ে মালামাল আমদানিতে অটোমেশন চালুর প্রতিবাদে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকেরা। গত শুক্রবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকার মতো রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অটোমেশন পদ্ধতি চালুর ফলে সময়ক্ষেপন হবে বলে দাবি করেছেন আমদানিকারকরা।
তামাবিল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, আমদানি পণ্যের তথ্য আগে খাতা-কলমে এন্ট্রি করে তথ্য সংগ্রহ করা হতো। এখন সম্পূর্ণ কম্পিউটারে ডাটাবেজ এন্ট্রিতে অটোমেশন সুবিধার মাধ্যমে দ্রুত তথ্য প্রদান করা যাবে।
এই বন্দরটি এতদিন আধুনিকায়নে পিছিয়ে ছিল। আগে শুল্ক ফাঁকি থেকে শুরু করে একজনের পণ্য অন্যজন নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। অটোমেশনের ফলে এখন আর সেই সুযোগ নেই। এতে করে বাণিজ্যিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বাড়বে।
এ ব্যাপারে তামাবিল চুনা-পাথর-কয়লা আমদানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, এ বন্দরের ভারতীয় অংশে এখনও অটোমেশন পদ্ধতি চালু না হওয়ায় তামাবিল বন্দরে অটোমেশন পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন তারা। শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রান্তে অটমেশন পদ্ধতি চালু হলে সময়ক্ষেপন হবে বলে দাবি করেন তিনি। এ বন্দর দিয়ে মূলত পাথর আমদানি হয়ে থাকে বলেও তিনি জানান।
এদিকে বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছে অটোমেশন চালু হওয়ায় ঘরে বসেই কম্পিউটার আর মোবাইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আরও গতি আসবে। নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা, কমবে হয়রানি। স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ীরা।
অটোমেশন হওয়ার ফলে মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ঘরে বসেই তাদের পণ্যের তথ্য জানতে পারবেন।
তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আমদানিকারকদের পণ্য বন্দরে ঢুকেছে কিনা ও তার কত টাকা রাজস্ব এসেছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী উভয়েই নিমিষেই তা জানতে পারবে। এটি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।