আজ সোমবার দুপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৫ জন ক্রীড়াবিদ / ক্রীড়াসংগঠককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রদত্ত ৯১ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক যে ৫ জন ক্রীড়াবিদ / ক্রীড়াসংগঠককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন সাঁতারু প্রিয়াংকা দাসকে ১০ লক্ষ টাকা, প্রাক্তন হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ও সংগঠক মোঃ জাহিদ মাহমুদকে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য ১০ লক্ষ টাকার চেক , জাতীয় ক্রিকেট দলের আম্পায়ার সৈয়দ মোহাম্মদ সাইদুল হককে ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও ৫ লাখ টাকার চেক, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সাইক্লিস্ট ফারহানা সুলতানা শিলা চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য ১ লক্ষ টাকার চেক ও ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, সাবেক ফুটবলার এস কে বসির আহাম্মেদকে ১ লক্ষ টাকার চেক ও ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
চেক বিতরণকালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। তিনি ক্রীড়াবিদদের সুখে-দুঃখে সবসময় ছায়ার মতো পাশে থাকেন। তিনি ক্রীড়াসেবকদের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ এ করোনাকালীন সময়ে ৫০ কোটি টাকাসহ মোট ৬০ কোটি টাকা সীডমানি প্রদান করেছেন।’বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সীডমানি সাড়ে সাতষট্টি কোটি টাকা। যার মুনাফা এবং প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে অধিকসংখ্যক ক্রীড়াসেবীকে মাসিক ক্রীড়া ভাতা প্রদান এবং এককালীন বিশেষ অনুদান ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রায় প্রতিমাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায়, অসচ্ছল ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সহায়তা করে চলেছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।