বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেল। গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন।
বাদীর আইনজীবী ইশফাকুর রহমান গালিব নিশ্চিত করেছেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি শেখ মোরসালিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতির প্রেমের বিয়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আসামি বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তিনি বাদীর কাছে গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন। তাই বাদী আদালতে মামলা করেছেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বৈবাহিক জীবনের সুখ-শান্তি ঠিক রাখার কথা বলে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ যৌতুক দেওয়ার জন্য সেঁজুতিকে চাপ দিতে থাকে মোরসালিন। বিয়ের পর থেকে বাদী সেঁজুতি আসামির প্রকৃত চেহারা…পরধন লোভী, পরনারীতে আসক্ত তা বুঝতে পারেন। আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার বাদীকে মানসিক চাপ দেন এবং বলেন তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা আসামির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর বাদী অনুনয়-বিনয় করে আসামিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তার পিতা-মাতার যা সাধ্য ছিল তা বিয়ের সময় খরচ করেন। পিতা-মাতার মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিলে তাদের পথে বসতে হবে।’
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘শতবার পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও মোরসালিন তা না বুঝে সেঁজুতি বিনতে সোহেলকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। পরে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এতে সেঁজুতি উপায়ন্তর না পেয়ে তার পিতা-মাতার বাসায় চলে আসেন।’
‘পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় মোরসালিন তার স্ত্রীর বাসায় আসেন। এ সময় সেঁজুতি মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে তিনি জানান, ‘‘আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি।’’ তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেঁজুতির পিতা-মাতা আসামিকে অনুরোধ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে দেওয়ার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। তখন আসামি মোরসালিন তার স্ত্রী সেঁজুতি ও তার পিতা-মাতাকে গালাগালি ও হুমকি ধামকি দিতে থাকেন।’