নাসিম রুমি: ‘অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এর ফাইনালে টাইব্রেকার শেষে কয়েন টস জিতে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু বাইলজে কয়েন টস না থাকায় সেটি বাতিল করে আবার শ্যুটআউট করার সিদ্ধান্ত নেন রেফারিরা। ভারত সেটা মেনে না নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
তাদের মাঠে ফেরার জন্য ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। সেই সময়ে না তারা আসে না। এরপর লম্বা সময়ের আলাপ-আলোচনা আর অপেক্ষা শেষে কয়েন টসের ফল বাতিল করে বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
সব মিলিয়ে নাটকীয়তায় ঠাঁসা হয়ে রইলো ‘অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এর ফাইনাল।
গতকাল বৃস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিবানি দেবির গোলে শুরুতেই লিড নেয় ভারত। আর অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশের মোসাম্মত সাগরিকা আক্তারের গোলে ফেরে সমতা।
১-১ সমতা নিয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম পাঁচ শটে দুই দলই বল জালে জড়ায়। এরপর সাডেন ডেথেও চলে সমানে সমান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ১১ জন খেলোয়াড়ই গোল করেন।
অন্যদিকে ভারতেরও ১১ জন টাইব্রেকার ও সাডেন ডেথে গোল করেন। যেহেতু দলের সব খেলোয়াড়ের টাইব্রেকারে কিক নেওয়া হয়ে যায় তাই কে চ্যাম্পিয়ন হবে সেটা নির্ধারণ করতে শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়া দিলান রেফারিদের কয়েন টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত দেন। সেই টসে হেরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। আর জিতে যান ভারতের অধিনায়ক আনিকা দেভি শারুবাম। তাতে ‘কয়েন টসে’ ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয় বাংলাদেশ। ভারত হয় চ্যাম্পিয়ন।
মাঠের একদিকে ভারতের খেলোয়াড়রা উল্লাস করতে থাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাগণ এটার বিরোধিতা শুরু করেন। রেফারিদের কাছে কয়েন টস না করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের চাপের মুখে ও বাইলজ মেনে শেষ পর্যন্ত আবার শ্যুটআউটের সিদ্ধান্ত নেন রেফারিরা।
কিন্তু এবার বেঁকে বসে ভারত। তারা এটা না মেনে মাঠ ছেড়ে চলে যায়। তাদের ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয় মাঠে ফেরার। সেই সময়ে তারা না ফিরলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। যথারীতি ৩০ মিনিট শেষে ভারত আসে না। এরপর উভয় পক্ষের কোচ-কর্মকর্তাদের সঙ্গে লম্বা সময় আলাপ-আলোচনার পর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।