আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকের। বর্ণিল আলোকসজ্জা, জাপানের নানা সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার মধ্যদিয়ে পর্দা উঠল টোকিও অলিম্পিকের। উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাপানের রাজা নারুহিতো।
নেই সেই জাঁকজমক। দর্শক নেই, স্বল্প সংখ্যক অ্যাথলেট, অনেক অনেক ফেসমাস্ক এবং জীবাণু-বিহীন ফ্ল্যাগ-এসব নিয়েই আজ (শুক্রবার) শুরু হলো টোকিও অলিম্পিক। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক এই ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন হাতেগোনা ৯৫০ জন। প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো। গত বছরের স্থগিত গেমসের উদ্বোধনী করেছেন তিনি।
করোনার মহামারির এই সময়ে চলে গেছে অনেক প্রাণ। তাদের উদ্দেশে শুরুতেই সমবেদনা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয় অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্যই পিছিয়ে যায় টোকিও অলিম্পিক। ভিলেজের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় এবারও শেষ মুহূর্তে আসর বাতিল হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল আয়োজক প্রধানের কথায়। তবে শেষ পর্যন্ত অলিম্পিক শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরল ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে।
অনুষ্ঠানে অলিম্পিক লরেল নামের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নোবেল পদকজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর আগে ভার্চুয়ালি তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসরের আয়োজক জাপানের সংস্কৃতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। জাপানের অক্ষর অনুযায়ী মার্চ পাস্টে অংশ নেয় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।
অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটের সংখ্যা ১১ হাজারের বেশি। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দেশের অ্যাথলেটরাই মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
এবারের অলিম্পিকে ৩৩টি খেলার ৫০টি ডিসিপ্লিনে ৩৩৯টি ইভেন্ট তথা স্বর্ণপদকের জন্য লড়বেন প্রায় ২০৫টি দেশের ১১ হাজার ৩২৪ জন ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশ থেকে ৬ জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন এবারের আসরে।