জাতীয় খেলা কাবাডিতে এক সময় পদক আসতো এশিয়ান গেমস থেকে, স্বর্ণের জন্য লড়াই হতো। ২০০৬ সালের পর এশিয়ান গেমস থেকে সেই কাবাডিতে আর পদকই আসেনি। ব্রোঞ্জ এসেছে সর্বশেষ সাউথ এশিয়ান গেমস (এসএ) থেকে। কাবাডি নিয়ে এখন কেবল হতাশা আর হতাশা।
কাবাডির গৌরব ফেরাতে যে সঠিক পরিকল্পনা দরকার, তা কি করতে পারছে ফেডারেশন? এ প্রশ্ন কেবল একজন সাধারণ ক্রীড়ামোদীরই নয়, দেশের ক্রীড়ার অভিভাবক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপিরও।
২৮ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের লোগো উম্মোচনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে সে হতাশাই প্রকাশ করলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কাবাডিকে আমরা যে পর্যায়ে দেখতে চেয়েছিলাম, সে পর্যায়ে যেতে পারেনি।’
সর্বশেষ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জেতা ইরানের কথা উল্লেখ করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইরান চ্যাম্পিয়ন হয়। অথচ কাবাডিতে এই ইরানের নামই শুনিনি আগে। এ দেশগুলো এত দ্রুত কিভাবে এগিয়ে গেল, সেটা ফেডারেশনকে দেখতে হবে। তাদের এমন কি ম্যাজিক আছে?’
কাবাডিকে এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। এ খেলাটি থাকা উচিত সব খেলার সামনে। কাবাডিকে সামনে যেতেই হবে। অন্য দেশগুলো পারছে, আমরা কেন পারছি না? ফেডারেশন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’