নাসিম রুমি: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শিরোপা জয়ের অন্যতম ফেভারিট ছিলেন আরিনা সাবালেংকা। জিতলেই হ্যাটট্রিক শিরোপা হতো তার। ২৬ বছর বয়সী বেলারুশিয়ান তারকা ২০২২ সালের পর থেকে মেলবোর্নে একটি ম্যাচও হারেননি। এবারের আসরের শুরুটাও হয়েছিল ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল জিতে।
অন্যদিকে, আমেরিকার ম্যাডিসন কিসও দারুণ ফর্মে ছিলেন। অ্যাডিলেডে শিরোপা জিতে আত্মবিশ্বাসী কিস মেলবোর্নে শুরু থেকেই ঝড় তুলেছেন। ২০২২ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন এলেনা রিবাকিনা, পাঁচবারের মেজর জয়ী ইগা সোয়ানতেক- সবাইকে হারিয়ে তিনি ওঠেন ফাইনালে।
ফাইনালে কিস দুর্দান্ত শুরু করেন। প্রথম সেট জিতে তিনি যেন সাবালেংকাকে চাপে ফেলে দেন। তবে সাবালেংকাও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ান এবং দ্বিতীয় সেট জিতে ম্যাচটি শিরোপা নির্ধারণী সেটে নিয়ে যান।
সেখানে স্কোর ৫-৬ অবস্থায় সাবালেংকা যখন ম্যাচে টিকে থাকার জন্য সার্ভ করতে আসেন, তখন কিস সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শেষে সাবালেংকা ভীষণ হতাশ হন। নেটের কাছে আসার সময় তার দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিসকে আলিঙ্গন করার পর আম্পায়ারের সঙ্গে করমর্দন করেন। তবে বেঞ্চে ফিরে নিজের চেয়ারে বাড়ি মেরে র্যাকেট ভেঙে ফেলেন এবং হতাশায় মুখ ঢেকে কাঁদতে থাকেন।
তবে ট্রফি প্রদানের সময় সাবালেংকা ফিরে আসেন। রানার-আপ প্লেট হাতে নেওয়ার সময় হাসি দিয়ে বলেন, “ঠিক আছে, আশা করি, পরের বছর তোমার সঙ্গে আবার দেখা হবে।”