ভুটানে ফুটবল লিগ খেলতে গেছেন বাংলাদেশের ১০ খেলোয়াড়। ভুটানের লিগের খেলা লম্বা সময়ের জন্য হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে খেলা শেষ হয় বাংলাদেশে। কিন্তু ভুটানে আগামী আগস্টও নারী লিগের খেলা আছে। এক ম্যাচ হয়ে মাঝে দীর্ঘদিন বিরতি থাকবে। ভুটান নারী লিগের চ্যাম্পিয়ন দল এএফসি কাপে খেলবে। লম্বা গ্যাপ দিয়ে খেলা হবে। থিম্পু এফসির জার্সি গায়ে সানজিদার খেলা পিছিয়ে গেছে। আগামী ১০ মে খেলা। আরও ২০ দিন বসে থাকতে হবে। তাহলে সময় কাটে কীভাবে।
সানজিদা আক্তার জানিয়েছেন, জিম, প্র্যাকটিস এবং বিশ্রাম করেই তার সময় চলে যায়। সানজিদা জানান, এখন প্রচুর ঠান্ডা ভুটানে তবে এই ভুটানে নতুন নয়, আগেও কয়েকবার দেশের জার্সি গায়ে খেলতে গিয়েছেন তিনি এবার ক্লাব লিগে খেলতে গেলেও ওখানে সবাই তাকে চেনে। সানজিদার প্রতি দর্শকের আগ্রহ বেশ ভালো। সানজিদা নিজেই ভুটান থেকে জানিয়েছেন, ‘ভুটানিজরা আমাকে আগে থেকেই চেনে। পথে পথে দেখা হয়, হাত নাড়ে, স্টেডিয়ামের পুরোনো লোকজন দেখা হলে শুভেচ্ছা জানায়।’
ভুটানের মাঠে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন সানজিদা। এ মাঠে বাংলাদেশের অনেক স্মৃতি রয়েছে। বাজে স্মৃতির মধ্যে রয়েছে এই মাঠে ভুটানের কাছে হেরে বাংলাদেশ ফুটবল পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে পারেনি। প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের ম্যাচ ছিল না। ভালো স্মৃতির কথা শোনালেন সানজিদা, ‘আমরা অনুর্ধ্ব-১৮ সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, দুটা প্রীতি ম্যাচ জিতেছি। অনেকবার খেলতে এসেছিলাম, জিতেছিও অনেকবার। এবারই প্রথম ভুটানের লিগের খেলা খেলতে এসেছি।’
পরশু ভারতীয় নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। খবরটি জেনেছেন সানজিদা আক্তার। তিনিও এই দলে খেলেছেন ২০২৪ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব, তবে সানজিদা যোগ দেওয়ার পর সাড়া পড়ে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান ওমেন্স ফুটবলে। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের লাল-হলুদ জার্সি গায়ে সানজিদার একটা গোল যুগ যুগ মনে রাখার মতো। চোখে লেগে থাকার মতো। সেটপিস থেকে বলটা সরাসরি অসাধারণ ভঙ্গিতে প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়। সেই গোলটি পৃথিবীর যে কোনো ফুটবলে কমই দেখা যায়। সেবারই ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব সানজিদাকে নতুন বছরের চুক্তি করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কিন্তু সানজিদা রাজি হননি। দলে ভালো মানের খেলোয়াড়ের সংখ্যা না বাড়ালে সে খেলবে না।