বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১’।
আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা।
দেশি-বিদেশি দৌড়বিদের অংশগ্রহণে এই ম্যারাথনের নাম উঠে গেছে আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অ্যাসোসিয়েশনের (এইমস) ক্যালেন্ডারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন ক্যাটাগরিতে- ফুল ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন ও ডিজিটাল ম্যারাথন। ফুল ম্যারাথন অর্থাৎ ৪২.১৯৫ কিলোমিটার দৌড় শুরু ১০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় আর্মি স্টেডিয়াম থেকে, শেষ হবে হাতিরঝিলে। এই ইভেন্টে দেশি-বিদেশি ১০০ জন রানার অংশ নিচ্ছেন। একই দিনে হবে হাফ ম্যারাথন (২১.০৯৭ কিমি), যেখানে শুধু স্থানীয় ১০০ জন রানার অংশ নেবেন।
করোনা মহামারিতে আয়োজনকে সফল করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মোহাম্মদ সফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। কেউ কেউ ভয় পেলেও বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান রানার ইতিমধ্যে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া আমাদের দেশের অনেকের ম্যারাথনে খুব আগ্রহ। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, বিকেএসপিসহ আগ্রহী সবাইকে এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ম্যারাথন আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস ভিশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সাইফুর রহমানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কেনিয়া, মরক্কো, রুয়ান্ডা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ জনের মতো রানার অংশ নিচ্ছেন।
ফুল ও হাফ ম্যারাথন ছাড়াও রয়েছে ডিজিটাল ম্যারাথন। কভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে চলছে ম্যারাথন। মুজিববর্ষে আজ ১০ জানুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই আয়োজন হবে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী মনে করেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর লড়াই-সংগ্রামের কথা জানতে পারবে বিশ্ববাসী।’
এই ম্যারাথনকে স্বীকৃতি দেওয়া আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্যাকো বোরাও আশা করেন, ‘ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন ভালোভাবে সম্পন্ন হবে এবং প্রতিবছর এটা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও আয়োজক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’