নাসিম রুমি: গত বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হয়ে যায় জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের। এরপর কেটে গেছে ১৪ দিন। এরপরেও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মেয়াদ শেষ হলেও কীভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, সেই বিষয়ে জানিয়েছেন নিজেই।
বিসিবির নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক। এর মধ্যে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে রয়েছেন নান্নু। তাদের মেয়াদ শেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তবে এরপরে নতুন কমিটি ঘোষণা করেনি ক্রিকেট বোর্ড।
এ দিকে মেয়াদ শেষ হলেও কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘শুরু থেকেই আমরা এভাবে কাজ করে এসেছি। কখনও চুক্তি শেষ হওয়ার ৬-৭ মাস পরে নতুন করে চুক্তি করা হয়েছে। নতুন প্যানেল ঘোষণার আগ পর্যন্ত তো কাজ চালিয়ে নিতে হবে। ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী বোর্ড সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।’
কাজ ছেড়ে না দেওয়ার বিষয়ে নান্নু বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। সেক্ষেত্রে বোর্ড থেকে অনুরোধ করা হলে অন্যকিছু চিন্তা করার জায়গা থাকে না। বোর্ড আমাদের এতদিন সম্মান দিয়েছে, আমিও তাদের সম্মান দেখাবো। তাছাড়া বোর্ড যদি আমাদের কাজে সন্তুষ্ট না থাকতো, তাহলে এতদিন আমাদের দায়িত্বে রাখতো না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যর্থতা নিয়ে একের পর এক সমালোচনায় জর্জরিত হয়েছেন নির্বাচকেরা। তবে সেগুলো পাশে রেখে সামনের দিকে এগিয়েছেন বিসিবির কর্তারা। ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির পরে বর্তমান নির্বাচকদের সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনও উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সে পথে আর হাঁটেনি বিসিবি। এবার তাদের ওপরেই ভরসা রেখে হয়তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।