পর্দা উঠেছে আইপিএলের ১৮তম আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। গত কয়েক মৌসুম ধরে ধারাভাষ্য দিয়ে আসছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। তবে এবারের আইপিএলের ধারাভাষ্য প্যানেলে জায়গা পাননি তিনি।
ব্যক্তিগত ক্রোধ থেকে ভারতের তারকা ক্রিকেটারদের সমালোচনা করায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান ধারাভাষ্য প্যানেলে জায়গা পাননি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
এমন বাদ পড়ার ঘটনা অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন নয়। এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত দলে রবীন্দ্র জাদেজার জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। শুধু তাই নয়, তারকা এই অলরাউন্ডারকে ‘অল্পস্বল্প’ অর্থাৎ, ছোট মানের ক্রিকেটার মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
একই বছরের নভেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কলকাতা টেস্ট চলাকালীন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। এসব কারণে বিসিসিআইয়ের ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাঞ্জরেকার।
২০১৬ আইপিএলের আগে কোনো রকম ব্যাখ্যা ছাড়াই ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ পড়েছিলেন হার্শা। তাদের দুজনের পর এবার একই রকম শাস্তি পেলেন ইরফান। ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন ভারতের সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত রোষ থেকে ক্রিকেটারদের সমালোচনায় করায় এমন শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ইরফানকে। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের নির্দিষ্ট এক ক্রিকেটারকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সেটা ভালোভাবে নেননি সেই ক্রিকেটার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইরফানকে ব্লক করে রেখেছেন সেই ক্রিকেটার। এ ছাড়া ইরফানের ‘মনোভাব’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সবশেষ দুই বছরে ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় ‘অ্যাটিটিউড’ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রিকেটাররা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আইপিএলের ধারাভাষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইরফানকে।