যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরব একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এর সাথে সাক্ষৎ করেন।
বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক যৌথ অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়সমুহ যেমন বাণিজ্য থেকে শুরু করে জনশক্তি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বন্ধু প্রতিম দুই দেশ আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। সৌদি সরকার যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়। যার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগনই উপকৃত হবে। এ সময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বদলে যাওয়া উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়শী প্রশংসা করেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূতের এ প্রস্তাবনাকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অত্যন্ত ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট, ফুটবল, আরচ্যারীসহ অন্যান্য খেলাধুলাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এর সুবিধা ভোগ করছে। দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই যুব সমাজ। দেশের এ বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে আধুনিক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তরিত করছে। এ সকল দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনশক্তি বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরবে রফতানী করছে। যারা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলে ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের দক্ষ অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কোচ ও কর্মকর্তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে। পারস্পারিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। সৌদি উন্নয়ন সহায়তা ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পোর্টস অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে। এছাড়াও যুব বিনিময় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে। যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ সহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।