নাসিম রুমি: দুর্বল কোস্টারিকার বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েও গোল না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ব্রাজিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভিনি-রদ্রিগোরা। প্যারাগুয়ের জালে ৪ গোল দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে সেলেসাওরা। এই জয়ে কোয়াটার ফাইনালে দৌঁড়ে টিকে রইল তারা। শেষ ম্যাচে কলম্বিয়াকে হারাতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে ব্রাজিল।
শনিবার (২৯ জুন) অ্যালিজায়ান্ট স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকায় প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিউস। একটি গোল করেছেন স্যাভিও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এক গোল হজম করলেও পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান লুকাস পাকেতা।
এদিন ম্যাচের শুরুতে থেকে আক্রমণ করতে থাকেন ব্রাজিল। কিন্তু বার বার প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে গিয়ে যেভাবে বল হারাচ্ছিলেন ভিনিসিয়ুসরা। ৩১তম মিনিটে তো হতাশই করে বসেন লুকাস পাকেতা। বক্সে প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডারের হাতে লাগার সুবাধে পাওয়া পেনাল্টি নিতে গিয়ে বারের বাইরে শট নেন তিনি।
তবে সেলেসাওদের বেশিক্ষণ আক্ষেপে পুড়তে দেননি ভিনিসিয়ুস। ৩৫তম মিনিটে গোলের খাতা খোলেন তিনি। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে সতীর্থদের পাস দিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এক-দুই পাসের পর তাকে বল বাড়িয়ে দেন পাকেতা। প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে পরাস্ত করে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান ভিনিসিয়ুস।
এর ৮ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান স্যাভিও। প্যারাগুয়ের রক্ষণের ভুলে বক্সে বল পেয়ে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক গোলটি করেন ২০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভুলের মাশুল দিয়ে তৃতীয় গোলটি হজম করে প্যারাগুয়ে। গোলবারের সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করতে দেরি করায় এগিয়ে গিয়ে বল জালে জড়ান ভিনিসিউস। এতে ৩-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবলে ব্যবধান কমায় প্যারাগুয়ে। ৪৮তম মিনিটে দূরপাল্লার তীব্র গতির শটে পোষ্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ওমার আলদেরেতে। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও কমানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন জুলিও এনসিস্কো। খুব ভালো জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।