নাসিম রুমি: সুযোগ ছিল নিজেদের ভাগ্যটা নিজেরাই লেখার; হাতে ছিল দুই ম্যাচ; ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা পাকিস্তান– দুই দলের যে কারো বিপক্ষে জিতলেই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারত টাইগ্রেসরা। তার একটিও হলো না। দুটিতেই হেরে এখন পুরোপুরি অনিশ্চয়তায় বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
ক্যারিবিয়ান মেয়েদের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর আজ পাকিস্তানের মেয়েদের কাছে হার এসেছে ৭ উইকেটে। লাহোরে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে তোলে ১৭৮ রান। জবাবে মুনিয়া আলী এবং আলিয়া রিয়াজের জোড়া অর্ধশতক পাকিস্তানকে এনে দিয়েছে সহজ জয়। ৬২ বল হাতে রেখেই জয় তুলেছে স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে ০.৬৪–এ। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানরেট এখন -০.২৮। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান নারীরা যদি বড় ব্যবধানে জয় না পায়, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
অথচ বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল অনেকটা নির্ভার থেকেই বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করার। পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য তেমন কোনো ভাল পারফরম্যান্সই আসেনি। ব্যাটিং ইউনিটে শুরুর প্রত্যেকেই ছিলেন ব্যর্থ। শারমিন আক্তারের ২৪ আর রিতু মনির ৪৮ রান কিছুটা অন্তত ভরসা দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে উপরে উঠে আসা নাহিদা করেছেন ১৯ রান।
শেষদিকে ফাহিমার দায়িত্বশীল ৪৪ রান বাংলাদেশকে পার করায় ১৫০ রানের কোটা। তবে তাকে আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় ১৭৯ রানেই থামে বাংলাদেশের মেয়েদের ইনিংস।