ইউরোপিয়ন ফুটবল সাংবাদিক মিনা রজৌকি বেছে নিয়েছেন ভিনিসিয়ুসকে।
তিনি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভিনিসিয়ুস পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে। সুতরাং নিশ্চিতভাবেই তাকে বেছে নিবে। হার-জিতে পার্থক্য তৈরি করেছে। এই বছর পার্থক্য গড়ার কারিগর হিসেবে ভিনি অথবা জুড বেলিংহামকে বেছে নিতে হবে। তবে আমার মত ভিনি।’
ফ্রান্স ফুটবল সাংবাদিক জুলিয়েন লরেন্স কিলিয়ান এমবাপ্পেকে সেরা খেলোয়াড় বললেও ব্যালন ডি’অর রদ্রির হাতে দেখতে চান। ভিনি এবং বেলিংহামের মতোই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রদ্রি। সেরা খেলোয়াড়েরা যা করে ঠিক তাই। জানি সে গোল করতে পারেনি, তবে ড্রিবল এবং কৌশলে এগিয়ে। তার পজিশনে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান খেলোয়াড়। গত কয়েক বছর ধরে সে ক্লাব এবং দেশের জন্য অবিশ্বাস্য কিছু করেছে। সে অন্য যে কারও থেকে ব্যালন ডি’অর পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে।’
ভিনিসিয়ুসের পক্ষে মত দিয়েছেন বেলজিয়াম ফুটবল বিশ্লেষক ক্রিস্তোফ তেরেউর। তিনি বলেছেন, ‘তারকা ফুটবলের সময় শেষ। আপনার কাছে এখন নতুন তারকারা আছে কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ে সত্যি খুব একটা ভালো করতে পারেনি। তবে আমার মত ভিনি।’
অন্যদিকে স্প্যানিশ ফুটবল বিশ্লেষক গুইলাম বালাগের বাজি রদ্রির ওপর। তিনি বলেছেন, ‘ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যা প্রয়োজন তার সবকিছুই করেছে রদ্রি। আনসাং হিরোকে পুরস্কারটি দেওয়ার এটা একটা দারুণ সুযোগ।’
গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের হয়ে ৪৯ ম্যাচে ২৬ গোল করেছেন ভিনি। সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি। ব্রাজিলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে না পারলেও রিয়ালের হয়ে জিতেছেন ৩টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের সঙ্গে জিতেছেন লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ।
অন্যদিকে ম্যানচেস্টার সিটি ও স্পেনের হয়ে ৬৩ ম্যাচ খেলেছেন রদ্রি। ১২ গোলের সঙ্গে সহায়তা করেছেন ১৬টিতে। উভয় দলের হয়ে মোট ৪টি শিরোপা জিতেছেন। সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপের সঙ্গে স্পেনের হয়ে ইউরো জিতেছেন তিনি।