যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। দেশকে স্বাধীন করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নেও নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন গড়ে তোলেন। তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ১৯৭২ সালেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা’। যা আজকের ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ’। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে প্রতিবছর দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় (বালক-বালিকা) বাছাই করার জন্য অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ।এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। মূলত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তুলে আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিভাদের হারিয়ে যেতে দিতে চাই না।
তিনি আজ দুপুরে এনএসসির শহীদ শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে অনুর্ধ-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী ২০২৩-২৪ এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ১১টি ইভেন্টে বাছাইকৃত ১৬৪ জন খেলোয়াড়কে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্বাবধানে ২১ দিনের উন্নত প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষনে খেলোয়াড়দের ইভেন্টভিত্তিক মেধাতালিকা তৈরী করে তাদের প্রত্যেককে আজ সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি ইভেন্টে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী ০৫ জন খেলোয়ারকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেডারেশনে দীর্ঘমেয়াদী উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করা হবে। তারা কোথায় কোন অবস্থানে আছে, আমরা মনিটরিং করবো। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হবে। যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।
এ সময়ে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র শহীদ শেখ কামালকে আধুনিক ফুটবলের রুপকার হিসেবে আখ্যায়িত করে তার ক্রীড়া ও সংস্কৃতির প্রতি যে বিশেষ অনুরাগ ছিলো সে বিষয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শহীদ শেখ কামালের ভূমিকা ছিলো অনবদ্য।
উল্লেখ্য, জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, কাবাডি, ভারোত্তলন, সাইক্লিং, জিমন্যাষ্টিক্স, জুডো, দাবা, বক্সিং, ক্রিকেট এ ১১টি ইভেন্টে ইভেন্টভিত্তিক প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।