নিজের অপরাধের শাস্তি ভোগ করেছেন স্টিভেন ফন দে ভেলদে। তবে কৃতকর্মের কারণে এখনো সমালোচনা থেকে মুক্তি পাননি নেদারল্যান্ডসের বিচ ভলিবল খেলোয়াড়। তাই তো প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে নামার আগে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে তাকে।
স্টিভেনের অপরাধটা অবশ্য বড় রকমের।
২০১৭ সালে মুক্তি পেয়ে আবারও ডাচ দলে সুযোগ পান স্টিভেন। তবে সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকে তার জায়গা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে প্যারিস অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী খেলোয়াড়।
অলিম্পিকে তার সুযোগ পাওয়া নিয়েই তাই সমালোচনার ঝড় বইছে। অলিম্পিকে দে ফেলদের অন্তর্ভুক্তিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেছেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের রেপ ক্রাইসিস প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিয়ারা বার্গম্যান।
বার্গম্যান বলেছেন, ‘আপনি একজন শিশুকে ধর্ষণ করা সত্ত্বেও যদি অলিম্পিকে খেলতে পারেন, রোল মডেল হয়ে উঠতে পারেন, এটা সত্যিই হতাশার। ভুক্তভোগীর ওপর এতে গুরুতর প্রভাব পড়ে।’ এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন বার্গম্যান।
তিনি বলেছেন, ‘কিভাবে তাঁকে খেলার অনুমতি দেওয়া হলো? আমার মনে হয়, এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।’
অন্যদিকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা ও সম্মান নিয়ে কাজ করা কিনিস্কা অ্যাডভোকেসির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কেট সিয়েরি বলেছেন, ‘তার অংশগ্রহণ সবাইকে এই বার্তাই দেয় যে খেলাধুলায় দক্ষতা অপরাধকে ঢাকে ।’
তবে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটিকে (আইওসি) পাশেই পাচ্ছেন স্টিভেন। ডাচ অলিম্পিক দলের বিবৃতিকে সঠিক মনে করে আইওসির মার্ক অ্যাডামস বলেছেন, ‘অ্যাথলেট অলিম্পিক ভিলেজে থাকছেন না। এনওসিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। শান্তি এবং খুশি আপনার যেভাবেই সমালোচনা করেন না কেন তারা (ডাচ) যে বিবৃতি দিয়েছে সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমরা পরিস্থিতিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’