এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান; কিন্তু সেখানে খেলতে যাবে না ভারত। এ নিয়ে গত একটি বছর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় দল পাকিস্তানে না এলে, পাকিস্তান দল বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন পিসিবির তখনকার চেয়ারম্যান রমিজ রাজা।
ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। শেষ পর্যন্ত ভারতের দাবিরই জয় হতে যাচ্ছে। এশিয়া কাপ ভেন্যুর মর্যাদা হারাতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। নতুন ভেন্যু কোথায় তা নির্ধারণ হয়নি এখনও। আগামী মাসেই (মার্চে) ঠিক করা হবে, এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে কোথায়।
তবে এবারও এশিয়া কাপ আয়োজনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে সেই সংযুক্ত আরব আমিরাতই। শনিবার বাহরাইনে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি সাক্ষাৎ করেন। এরপরই শোনা যাচ্ছে এ খবর।
তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, নাজম শেঠি এবং জয় শাহ-এর মধ্যে মিটিং অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে। অর্থ্যাৎ, পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপের ভেন্যু সরে যাওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রেসিডেন্ট এবং বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ, নাজম শেঠিকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন- ভারতীয় দল এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান যাবে না।
প্রাথমিকভাবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। তবে জয় শাহ গত বছর অক্টোবরে ঘোষণা করেন, পাকিস্তানে যাবে না ভারত। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অনেক বাকবিতণ্ডা হয়েছে। জয় শাহ এবং নাজমের এই বৈঠকের দিকে সবার চোখ ছিল। ভারতীয় মিডিয়া বলছে, এই বৈঠকেই নিজেদের দেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের দাবি থেকে সরে আসেন নাজম শেঠি।
আরব আমিরাতই এখন এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে এগিয়ে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। জয় শাহের করা সেই মন্তব্যের কারণেই শনিবারের আপতকালীন এই বৈঠক ডেকেছিলেন নাজম শেঠিই। এসিসি’র সব দেশ উপস্থিত ছিল এই বৈঠকে।
ভারতীয় বোর্ডের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘সব দেশের উপস্থিতিতে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আয়োজকদের নাম ঘোষণা মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানে যাবে না। তাই প্রতিযোগিতাকেই স্থানান্তরিত করা হবে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা এ ধরনের প্রতিযোগিতায় না খেললে স্পনসররা কেউ আসবে না।’