ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সময় এবং প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারলে চরম সংকট অব্যশ্যম্ভাবি। অনলাইন প্লাটফর্ম সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য বড় ভূমিকা রাখবে।তিনি সাংস্কৃতিক কর্মীদের ডিজিটাল মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়ে সাংস্কৃতিক বিপ্লব এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সাংস্কৃতিক সংগঠন পদক্ষেপ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আাহ্বান জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো: আছাদুজ্জামান এবং পদক্ষেপ বাংলাদেশের সভাপতি বাদল চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাঙালির অস্তিত্বের সাথে ইলিশের সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বজুড়ে ইলিশ বাঙালির পরিচয়ের সাথে মিশে আছে। পর্যটনের বিকাশে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে পারলে পর্যটন খাতকেও আরও বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ভৌগলিক ট্যুরিজম এবং অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের নিজের দেশ সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ অভাবনীয়।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমাদের সমূদ্রসীমার যে সম্পদ আছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ কাজে লাগানো হবে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে তা অতুলনীয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার অক্ষমতা যাতে অসহায়ত্বে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ।তিনি বলেন, করোনাকালে সাংবাদিকতাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, রাজনীতি, শিল্প, সরকার, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা ব্যবসা, বাণিজ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে গেছে। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক জনাব মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশে নানা প্রতিকূলতা জয় করার স্মৃতি রোমন্থণ করে বলেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের পথ বেয়ে বাংলাদেশে আজ বিশ্বে অনুকরণীয়। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্লের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি মেনে চলাসহ গুজব বন্ধে ২০১৮ সালের পর থেকে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি এবং বহুদূর আমরা এগিয়েছি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও ষবার সভাপতি শ্যাম সুন্দর সিকদার দেশের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে বলেও জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আশির দশকে সাংবাদিকদের কম্পিউটার শিখিয়ে জনাব মোস্তাফা জব্বার সংবাদিকদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত করার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার এই অবদান সাংবাদিক সমাজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে চিরকাল। সাংবাদিকদের ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগে তিনি আরও অবদান রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন