মোবাইল ফোনের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে ব্যাটারি। ব্যাটারিতে সমস্যা হলে সেই ফোন ব্যবহার করে শান্তি পাওয়া যায় না। অনেকের ফোনের ব্যাটারি দ্রুত ডাউন হয়ে যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ব্যাটারির আয়ু শেষ হয়ে যায়। ফোন ব্যবহারের উপর অনেকটা নির্ভর করে ব্যাটারির আয়ু। এবার জেনে নিন যেভাবে ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখবেন।
শুরুতেই জেনে রাখা দরকার ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে ব্যাটারির প্রতি যত্নবান হওয়া। অনেকে মনে করেন স্মার্টফোনের ব্যাটারি পুরো ডিসচার্জ হলেই নতুন করে চার্জ দেয়া উচিত। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। ফোনের ব্যাটারির ৮০-৯০ শতাংশ নেমে আসলে চার্জ দেয়া উচিত।
তবে মাসে অন্তত একদিন ব্যাটারি পুরো ডিসচার্জ করা যেতে পারে। অন্যদিকে ফোনকে শতভাগ চার্জ না দেয়াই ভালো। এতে করে ব্যাটারির উপর চাপ পড়ে। ৯৫ শতাংশ চার্জ হলেই চার্জার থেকে খুলে রাখুন।
তবে সবচেয়ে ভালো চার্জ দেয়ার উপায়টা হচ্ছে ফোনটি সুইচ অফ করে চার্জ দেয়া। এতে চার্জ দ্রুত হয়। ব্যাটারির আয়ুও বাড়ে । অনেকে ফোনে চার্জ দেয়া অবস্থায় কথা বলেন কিংবা গেমস খেলেন। এমনটা ভুলেও করবেন না। এতে ব্যাটারি বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে ব্যাটারির আয়ুও কমে।লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কেন্দ্রে থাকা রাসায়নিক পদার্থ কখনোই খুব বেশি বা খুব কম তাপমাত্রা পছন্দ করে না। তাই ফোনকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। খুব কম অথবা বেশি তাপমাত্রা ব্যাটারির ভেতরের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে। তাই গাড়ির ইঞ্জিন বরাবর অথবা সরাসরি সূর্যের আলোতে স্মার্টফোন রাখা উচিত নয়। এতে ব্যাটারি তাপ শোষণ করে বেশি গরম হয়ে যেতে পারে।
প্রতিটি ব্যাটারির নির্দিষ্ট জীবনকাল আছে। কতদিন একটি ব্যাটারি সেবা দিতে পারবে সেটি নির্ধারণ করে দেয় এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদান। প্রতিবার শতভাগ চার্জ আর পুরোপুরি ব্যবহার ব্যাটারির জীবনকালকে সীমিত করে ফেলে।
এ জন্য একবার চার্জ করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত। কিছু বিষয়ের দিকে একটু নজর দিলে চার্জ কম খরচ করেও দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করা যায়। যেমন, মোবাইল স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা ও ফোনের স্পিকারের পরিবর্তে হেডফোন দিয়ে ভিডিও দেখা ও অডিও শোনা ইত্যাদি।